কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হত্যা মামলার আসামি। ছবি: পুলিশ নিউজ

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অভিযানে মামলার তিন ঘণ্টার মধ্যে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন।

গতকাল রোববার জেলার নাগেশ্বরী থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জেলা পুলিশ জানায়, মামলার বাদী কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর বাবু মিয়া ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। দাম্পত্য কলহের কারণে তিন মাস আগে তাঁর স্ত্রী কালী আক্তার রাগ করে বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে চলে যান।

পুলিশ আরও জানায়, বাদী ও তাঁর স্ত্রীর অবর্তমানে তাদের তিন মেয়ে বাবুর ছোট বোন শাহিদা বেগমের সঙ্গে বাবুর বাড়িতে থাকা শুরু করে। এর মধ্যে ভুক্তভোগী হাফছা আক্তার খুশি (৯) স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করত।

গত ৪ সেপ্টেম্বর মামলার আসামি আব্দুল গনির (২২) সঙ্গে বাদীর ভাতিজি আঙ্গুয়ারা বেগমের (২০) বিয়ে হয়। বিয়ের পর শয়নকক্ষের সংকট থাকায় আসামি আব্দুল গনি ও আঙ্গুয়ারা বাবুর বসতঘরে থাকতেন।

এমন পরিস্থিতিতে বাবুর মেয়ে খুশি কোনো এক সময় গনি মিয়া দম্পতির অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলে। সে দুষ্টুমি করে আব্দুল গনির লুঙ্গি ধরে টানও দেয়। এতে ক্ষিপ্ত গনি রোববার সকালে ঘরে ডেকে নিয়ে খুশিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন। এরপর হত্যাকাণ্ডটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে শিশুটির গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ঘরের বাঁশের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন।

এ ঘটনায় বাবু মামলা করলে তিন ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উন্মোচন করে পুলিশ।

ঘটনা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আবদুল গনি ও তাঁর স্ত্রী।