কটিয়াদী থানা-পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার ৩ আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

পাওনা ৬০০ টাকার জন্য এক যুবককে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের এক ঘণ্টার মধ্যে এজাহারনামীয় প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কটিয়াদী থানা-পুলিশ। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চমকপুর এলাকায় হত্যার ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ জানায়, চমকপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে নূর আলমের (৩৭) কাছে দীর্ঘদিন ধরে পাওনা ৬০০ টাকা নিয়ে বিবাদীদের বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে ২৪ জুলাই রাত ১১টার দিকে নূর আলমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তারা। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন ২৫ জুলাই দুপুরে জনৈক মিন্টু মিয়ার পাটখেত থেকে ওড়না দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নূর আলমের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত নূর আলমের স্ত্রী শিউলি আক্তার বাদী হয়ে গত বুধবার ৯ জনের নাম উল্লেখ করে কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের এক ঘণ্টার মধ্যেই কটিয়াদী থানার একটি বিশেষ টিম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আনিছুল হকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় মূল আসামিসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন চমকপুর গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে এজাহারনামীয় মূল আসামি রফিক মিয়া (৩০) এবং ভুনা গ্রামের মৃত মাহতাব উদ্দিনের ছেলে আকাশ মিয়া (২৬) এবং একই গ্রামের মৃত ছালেক খানের ছেলে হাদিস খাঁ (৪৮)।

এদিকে প্রধান আসামি রফিক মিয়াকে বুধবার বিকেলে আদালতে উপস্থাপন করলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গ্রেপ্তার অন্য দুই আসামিও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।