মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্যারেড গ্রাউন্ডে খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ ২০২২। ‘দক্ষ পুলিশ, সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে ২৩ জানুয়ারি (রোববার) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণের মাধ্যমে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণভবন থেকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে যুক্ত হয়ে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত থেকে প্যারেড পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। খোলা জিপে করে প্যারেড পরিদর্শনের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার মো. ছালেহ উদ্দিন। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের পুলিশ সদস্যরা প্যারেডে অংশ নেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্যারেড গ্রাউন্ডে খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

পাঁচ দিনব্যাপী এই পুলিশ সপ্তাহের প্রতিটি অনুষ্ঠান যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুলিশ সপ্তাহ ঘিরে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপ সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য সাজে।

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির সঙ্গে পুলিশ সপ্তাহের প্যারেড উপভোগ করেন আইজিপির সহধর্মিনী ও পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে। সরকারের নেওয়া নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে পুলিশ এখন প্রযুক্তিনির্ভর বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরের কারণে পুলিশ আরও বেশি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছে। পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা সৃষ্টি হয়েছে এবং আস্থাও বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং করোনাকালে নানা প্রতিকূলতা পাশ কাটিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।’

রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের প্যারেড। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

প্যারেড পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বাংলাদেশ পুলিশ পদক তুলে দেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার এবং মরণোত্তর কর্মকর্তাদের পরিবারের হাতে। এবার পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ২৩০ জন পুলিশ সদস্যকে পদক দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০২০ সালে ১১৫ ও ২০২১ সালে ১১৫ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা, রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম), রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা দেওয়া হয়।

রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের প্যারেড। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

মরনোত্তর পদকপ্রাপ্তরা হলেন মোহাম্মদ সাঈদ তারিকুল হাসান (এআইজি অপারেশন্স, পুলিশ সদর দপ্তর), এসআই মো. মাহবুবুর রহমান (হাইওয়ে পুলিশ, কুমিল্লা), কর্পোরাল শাহিদুজ্জামান (র‍্যাব ৫), কনস্টেবল মো. মাসুদ রানা (হাইওয়ে পুলিশ, বগুড়া অঞ্চল), সার্জেন্ট মো. খাইরুল ইসলাম (র‍্যাব-৪), কনস্টেবল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (ট্রাফিক উত্তর বিভাগ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ), কনস্টেবল কবির হোসেন (গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি মুন্সিগঞ্জ), কনস্টেবল মোহাম্মদ ইদ্রিস মোল্লা (র‍্যাব-১) এবং কনস্টেবল মোহাম্মদ রাব্বি ভূঁইয়া (হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চল)।

এ ছাড়াও পদক পেয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, খন্দকার লুৎফুল কবির (ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার গাজীপুর), ফয়সাল মাহমুদ (উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক বিভাগ সিলেট), এসআই মোহাম্মদ রাফি (জেলা গোয়েন্দা মুন্সিগঞ্জ), কনস্টেবল কোকিলা আক্তার (জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯), কনস্টেবল সাঈদ চৌধুরী (গোয়েন্দা শাখা ময়মনসিংহ), কনস্টেবল হাফিজুর রহমান (৫ এপিবিএন উত্তরা ঢাকা) এবং সৈনিক মো. ইমরান হোসেন (র‍্যাব ১৫ কক্সবাজার)।