পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার পুলিশ যাত্রীর ছদ্মবেশে ছিনতাইকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার করেছে তিনজন ভিকটিমকে।

জানা গেছে, ৪ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানাধীন পাটগুদাম ব্রিজ এলাকায় ডিউটি করার সময় এসআই (নিরস্ত্র) মো. আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন একজনের চিৎকার শুনে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় তিনজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে। তাঁরা হলেন আল আমিন (৩৬), মো. বুলবুল (৩০) ও মো. রফিক (৩৮)। এ সময় ভিকটিম আল আমিনের মাইক্রোবাসসহ আসামি মো. মফিজুল ওরফে মফিজকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামি ও ভিকটিমদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ছিনতাইকারীরা ৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার সময় সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানাধীন খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর যাওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসটি ভাড়া করেন। ভিকটিম মো. আল আমিন ও হেল্পার মো. বুলবুল ছিনতাইকারীদের নিয়ে কিছুদুর যাওয়ামাত্রই তাঁদের সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চালক ও হেল্পারের হাত-পা ও মুখ বেঁধে পিছনের সিটে নিচে ফেলে রাখেন। এরপর রাত অনুমান ৪টায় টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানাধীন এলেঙ্গা এলাকা থেকে অপর ভিকটিম মো. রফিককে (৩৮) অপহরণ করে ময়মনসিংহের দিকে চলে আসে। সকাল আনুমানিক ৮টায় কোতোয়ালি থানাধীন পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে আসার পর ভিকটিম মো. রফিককে ভয় দেখিয়ে তার সাথে থাকা ৩৫ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন নিয়ে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এ সময় ভিকটিম চিৎকার করলে দায়িত্বরত কোতোয়ালি থানা-পুলিশের দলটি তাকে উদ্ধার এবং আসামি মফিজুলকে গ্রেপ্তার করে। তবে অন্য আসামিরা পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের ড্রাইভার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অপহরণ মামলা রুজু করেন।

মামলা রুজুর পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নি.) মো. আনোয়ার হোসেন ৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামি মোহাম্মদ আল মামুন ওরফে সাগর (৩০), মো ফরমান (২৫) ও মোহাম্মদ আমিনুলকে (২৮) গ্রেপ্তার করেন।

আসামিরা ইতোপূর্বে এ রকম একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।

ইতোমধ্যে আসামি মফিজুল আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।