ময়মনসিংহে অটোরিকশাচালক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ময়মনসিংহে অটোরিকশাচালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি ও গৌরীপুর থানা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। খবর ঢাকা পোস্টের।

গ্রেপ্তার আসামিদের নাম মো. আলমগীর (২০), মো. রাকিবুল হাসান তপু (৩০), রাকিবুল ইসলাম (২১), মো. আরাফাত হোসেন বাবু (২৭), ফরহাদ (৩১), সুমন শেখ (৩৫) ও আলম (৪০)।

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা ১৩ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল আবেদিন পার্কের পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় অটোরিকশাচালক হাসেম মিয়ার (২৯) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। হাসেম সদর উপজেলার দাপুনিয়া কলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই নিলু মিয়া পরদিন কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।

পুলিশ সুপার জানান, মামলার পর কাজ শুরু করে পুলিশ ও ডিবি। তারই ধারাবাহিকতায় কোতোয়ালি ও গৌরীপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আলমগীর, রাকিবুল, রাকিব ও আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে আলমগীর, রাকিবুল, রাকিব, আরাফাতসহ পাঁচজন স্মৃতিসৌধের মাঠে বসে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী রাত ১২টার দিকে হাসেমের অটোরিকশা ভাড়া করে সার্কিট হাউস মাঠে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে চালক হাসেমের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করে বেড়িবাঁধের নিচে নদীর পাড়ে নিয়ে যায় আসামিরা। সেখানে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ছুরি দিয়ে বুকে ও পিঠে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। তারপর অটোরিকশাটি নিয়ে শম্ভুগঞ্জ এলাকায় ৩৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি করে নেন আসামিরা।

আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নগরীর শম্ভুগঞ্জ এলাকার ফরহাদ, সুমন ও আলমকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে আলমগীরের বিরুদ্ধে এর আগে একটি হত্যা মামলা, রাকিবুলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা, রাকিবের বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা, আরাফাতের বিরুদ্ধে একটি হত্যা ও চুরির মামলা রয়েছে। পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা হত্যা-মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।