একজন শীতার্তের হাতে কম্বল তুলে দিচ্ছেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মতিউর রহমান। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

সাতক্ষীরায় কয়েক দিন ধরে কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে গ্রামগঞ্জসহ শহরের লোকজন। তাদের এমন কষ্ট লাঘবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেন জেলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতার্তদের জন্য কম্বল ও শীতবস্ত্র নিয়ে কয়েক দিন ধরে প্রতি রাতে সাতক্ষীরা বিভিন্ন থানার গ্রামাঞ্চলে কম্বল বিতরণ করেছেন তিনি।

তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শহরের খুলনা রোড মোড়, সঙ্গীতা মোড়, হাটের মোড়, মেডিকেল কলেজ মোড়ে ঘুরে খুঁজে খুঁজে অসহায় দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন তিনি। এতে উপকৃত হচ্ছেন অনেক শীতার্ত মানুষ ও তাদের পরিবার।

পুলিশ সুপারের সহায়তামূলক এ কার্যক্রমে সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আমিনুর রহমানসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের সমাজে বহু সচ্ছল ব্যক্তি আছেন, শীত নিবারণের জন্য তাঁদের শরীর ধাপে ধাপে বিভিন্ন পোশাকে আবৃত করেন। লেপ, কম্বল থাকার পরও বাড়িতে ব্যবহার করেন রুম হিটার, গিজার। অথচ সেই সকল বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তি প্রত্যেকে যদি অন্তত একজন শীতার্তকে সহায়তা করেন, তবে দরিদ্র জনগণকে শীতে কষ্ট পেতে হতো না।

তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আমি রাতের বেলা শহরের বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে গরিব-অসহায় সম্বলহীন মানুষগুলোর দুর্দশা উপলব্ধি করেছি। হাড়কাঁপানো শীতে শিশুরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই একটু উষ্ণতার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শীত মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেলা পুলিশ ও তাঁর ব্যক্তিগত সহায়তায় শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।

কম্বল পাওয়া এক বৃদ্ধ বলেন, আমার গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিয়েছেন এসপি স্যার। এত দিন পাতলা কাপড় গায়ে দিয়ে ঘুমাইসি। শীত সহ্য করতে পারছিলাম না। এখন কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাব। সূত্র: ঢাকা মেইল।