লিবিয়ার অদূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌকায় ভাসমান লোকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে ওসান ভাইকিং। ছবি: সংগৃহীত

নৌকায় লিবিয়া থেকে যাত্রা করা অন্তত ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে মারা গেছেন। ডুবন্ত নৌকা থেকে উদ্ধার পাওয়া ব্যক্তিদের বরাতে গতকাল বৃহস্পতিবার মানবিক উদ্ধারকারী গোষ্ঠী এসওএস মেডিটেরানি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এপির।

উদ্ধার পাওয়া ব্যক্তিরা জানান, এক সপ্তাহের বেশি আগে ভূমধ্যসাগরে তারা ওই নৌকায় যাত্রা শুরু করেন। ইউরোপের দাতব্য জাহাজ ওশান ভাইকিং বুধবার ওই নৌকা দেখতে পায়। এতে তখন ২৫ জন লোক ছিলেন। এদের মধ্যে দুজন অচেতন অবস্থায় ছিলেন। ইতালির উপকূলরক্ষী হেলিকপ্টার তাদের চিকিৎসার জন্য অন্যত্র সরিয়ে নেয়। বাকি ২৩ জনের শারীরিক অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তাঁরা পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন এবং নৌকার জ্বালানির সংস্পর্শে তাঁদের দেহ পুড়ে গিয়েছিল।

এসওএস মেডিটেরানির মুখপাত্র ফ্রান্সেসকো ক্রেয়াজ্জো বলেন, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা সবাই পুরুষ। এদের মধ্যে ১২ জন শিশু-কিশোর। তারা সেনেগাল, মালি ও গাম্বিয়ার বাসিন্দা।

ক্রেয়াজ্জো বলেন, জীবিতরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন এবং সমুদ্রযাত্রার সময় কী ঘটেছিল, তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে পারেননি। নিখোঁজ ও সম্ভাব্য মৃতের সংখ্যা যাচাই করা কখনো সম্ভব নয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সমুদ্রে মৃত ও নিখোঁজদের সংখ্যার জানতে জীবিতদের বিবরণের ওপর নির্ভর করে থাকে।

বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, লিবিয়ার জাওইয়া থেকে প্রায় ৮৫ জনকে নিয়ে নৌকাটি ছেড়েছিল। এদের মধ্যে কয়েকজন নারী ছিলেন ও কমপক্ষে একজন ছোট শিশু ছিল। নৌকা ছাড়ার অল্প সময় পরেই মোটর ভেঙে গিয়েছিল। তারা এক সপ্তাহের বেশি সময় সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় ছিলেন।

জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন বলছে, চলতি বছরের ১১ মার্চ পর্যন্ত বিপজ্জনক সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় পথে ২২৭ জন মারা গেছে। নতুনভাবে খবর পাওয়া নিখোঁজ ও সম্ভাব্য মৃতদের সংখ্যা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়। ১ জানুয়ারি থেকে ভূমধ্যসাগরে মোট ২৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র : সমকাল