প্রতারণার ঘটনায় নড়াইল সদর থানার অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তি। ছবি: পুলিশ নিউজ

প্রোফাইলে মেয়েদের ছবি ব্যবহার করে ভুয়া আইডির মাধ্যমে ফেসবুক ফ্রেন্ড করে অশ্লীল ছবি পাঠিয়ে কয়েকজন তরুণীকে ব্ল্যাকমেলের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে নড়াইল সদর থানা-পুলিশ।

৪ সেপ্টেম্বর নড়াইল সদর থানায় ভুক্তভোগী এক তরুণীর বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে তিনি অভিযোগ করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর মেয়ের অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দিয়ে অনৈতিকভাবে অর্থের দাবি করছে একটি চক্র।

জেলা পুলিশের একাধিক টিম এই মামলার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর আরও বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে। মেয়েদের পরিচিত মেয়ে বন্ধুদের ছবি দিয়ে প্রোফাইল পিকচার দিয়ে ভুয়া আইডি খুলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতেন প্রতারক। ভুক্তভোগীরা তাদের বন্ধু ভেবে ওই রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করেন। ফলে তাদের আইডিতে প্রবেশ করে ছবি সংগ্রহ করা প্রতারকের সহজ হয়। শুধু ভুক্তভোগী ওই তরুণীই নয়, আরও অনেক তরুণীই এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে এডিটকৃত নগ্ন ছবিগুলো ভুক্তভোগী মেয়েদের ইনবক্সে পাঠানোর পাশাপাশি ওই ধরনের বিকৃত অশ্লীল ছবিগুলোকে পুঁজি করে অর্থের দাবি করা হয়।

এজাহারের সূত্র ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে তন্ময় সরকারকে (১৯) সোমবার গভীর রাতে নড়াইল সদর থানাধীন মালিয়াট গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর নামে নড়াইল সদর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলা করা হয়।