অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের হেফাজতে গ্রেপ্তার দুই যুবক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে কানাডিয়ান ভিসা প্রতারণাকারী একটি চক্রের মূল হোতাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পলাশ ঘোষ (২৬) ও রনি কুমার ঘোষ (৩০)। শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে এটিইউর একটি দল।

শনিবার (২৯ জুলাই) এটিইউর এএসপি ওয়াহিদা পারভীন বলেন, গ্রেপ্তার পলাশ ঘোষ রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বর্ষ পর্যন্ত এবং রনি কুমার ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা কানাডায় মাইগ্রেশনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশি সাধারণ মানুষকে ভিসা দেওয়ার নামে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করছিলেন।

এটিইউ সূত্রে জানা যায়, প্রতারকেরা প্রথমে অনলাইনে মেয়েদের নাম ব্যবহার করে ফেইক আইডি তৈরি করে নিজেদের দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথোপকথনের একপর্যায়ে গ্রেপ্তাররা কানাডায় স্কলারশিপ পেয়েছে বলে ওই সব ছাত্রের কাছে মিথ্যা তথ্য দিতেন এবং স্পাউস ভিসায় তাঁদের কানাডায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নভাবে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য কানাডার স্কলারশিপ পাওয়ার জাল কাগজপত্র তৈরি করতেন। এমনকি তাঁরা ব্রিলিয়ান্ট নাম্বার ব্যবহার করে ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশন থেকে কথা বলছেন বলে মিথ্যা পরিচয়ও দিতেন। এমন একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু করে এটিইউ। নিবিড় অনুন্ধানের পর প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।