ব্রিফিংয়ে পুলিশের অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। ছবি: ডিএমপি নিউজ

রাজধানীর ভাটারা থানাধীন জোয়ার সাহারার খাপাড়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ সাত অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) গুলশান বিভাগের জোনাল টিম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রাশেদুজ্জামান খান রাজু, রকিব হোসেন মুন্না, শারিকুল ইসলাম খান, আজিম পাটোয়ারী, মাহবুব খান, শরীফ খান ও সোহরাব খান।

গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের হেফাজত থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলভার, একটি বিদেশি শটগান, একটি পুরাতন রিভলবার, একটি পুরাতন ৯ এমএম পিস্তল, ৭৫টি গুলি, দুটি শটগানের কার্তুজ, ২১০টি গুলির খোসা, পাঁচটি পুরাতন ম্যাগাজিন, ৪০ গ্রাম বারুদসদৃশ পদার্থ ও ৬০টি বিভিন্ন অস্ত্রের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।

আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) জানান, ১৮ মার্চ ভাটারার জোয়ার সাহারার খাপাড়া এলাকায় ডিওএইচএস সোসাইটির রিকশার নম্বরপ্লেটকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে গ্রেপ্তারকৃতরা রুবেল হোসেনের ওপর দেশি ও বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়া হামলা করেন। একপর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত রাশেদুজ্জামান খান রাজু বাসা থেকে বের হয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ফাঁকা গুলি ছোড়া শুরু করেন। অপর অস্ত্রধারী রকিব হোসেন মুন্না হত্যার উদ্দেশ্যে রুবেল হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তাঁর ডান পায়ের ঊরুতে লেগে গুরুতর জখম হন। এরপর অস্ত্রধারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

তিনি আরও জানান, ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও তাঁদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে ডিএমপি ডিবির গুলশান বিভাগ। অভিযানকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা, গাজীপুর, মাদারীপুর ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।