পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার ৫ ডাকাত। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুরে ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্রসহ আন্তজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তাঁদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২০টি গুলি, ১টি গেট কাটার যন্ত্র, ৪ হাজার ৯৫০ টাকা এবং ২টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

গত সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে বেগমগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর সদর ও রামগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

৯ জুলাই উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুরের বাহার মিয়ার বাড়িতে এ সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার ডাকাতেরা হলেন লক্ষ্মীপুর সদরের পার্বতীনগর ইউনিয়নের মধ্যম মকরধস গ্রামের নতুন বাড়ির ইউসুফ মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (২৮), একই ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর গ্রামের নোয়াবাড়ির মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মো. জুয়েল (২৩), চৌমুহনী পৌরসভার পৌর হাজিপুর খালাশি বাড়ির মৃত লুৎফুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন সুজন ওরফে খালাশি সুজন (৩০) লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ফজল হক আটিয়া বাড়ির কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. মাসুদ(৪০) ও চাটখিল উপজেলার পশ্চিম পরকোট ফজল করিম মৌলভি বাড়ির নুর মিয়া পাটোয়ারির ছেলে কেসি জাহাঙ্গীর (৪৫)।

৯ জুলাই রাতে মূল ফটকের তালা কেটে ১০-১২ জনের ডাকাত দল প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসহ ১২ লাখ ৪৭ হাজার টাকার মালামাল লুট করে।

পরে গৃহকর্তা পুলিশে খবর দিলে বেগমগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলামের নোয়াখালীর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেগমগঞ্জ সার্কেল ও অফিসার ইনচার্জ, বেগমগঞ্জ থানার তত্ত্বাবধানে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়। এই টিম ডাকাতদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে কাজ শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে জানা যায়, খালাশি সুজনের বাড়িতে ঘটনার দিন ডাকাত দলের অবস্থান ছিল। এরই সূত্র ধরে ডাকাত দলের সদস্যদের চিহ্নিত করা হয়।

আন্তজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সর্দার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের চিহ্নিত ডাকাত মহসিন ও চাটখিলের জাহাঙ্গীর ডাকাতের নেতৃত্বে ডাকাতি সংঘটিত হয়।

পরে বেগমগঞ্জ থানা-পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) নোয়াখালী ও সুধারাম থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে লক্ষ্মীপুর সদর ও রামগঞ্জ থানা এবং বেগমগঞ্জ থানার চৌমুহনী পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ডাকাতেরা জানান, খালাশি সুজনের ডাকে ডাকাত মহসিন, শহীদ কবিরাজ ও কেসি জাহাঙ্গীরের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে তাঁরা প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি করেন।

এ ঘটনায় ডাকাত আরিফ, জুয়েল ও সুজন ঘটনার সঙ্গে নিজেদের ও অন্যদের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত অন্য মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।