ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বিদেশি মেহমানদের আবাসস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র‍্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন- সকলের সঙ্গে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা একযোগে কাজ করছি।

আইজিপি আজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বিদেশি মেহমানদের আবাসস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় এ কথা বলেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএমসহ উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

আইজিপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানে ইজতেমা আয়োজনের জন্য ১৬০ একর জমি দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের সেবার মান বাড়াতে এখানে ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং পরিবেশ সুন্দর ও নিরাপদ করেছেন।

পুলিশপ্রধান বলেন, ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিভাগ অনুযায়ী গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আইজিপি বলেন, ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তায় এখানে ওয়াচ টাওয়ার, কন্ট্রোল রুম রয়েছে। পুলিশ নিজের পোশাকে ও সাদাপোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। খিত্তাভিত্তিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া র‍্যাবের হেলিকপ্টার নিরাপত্তা টহলে নিয়োজিত থাকবে।

তিনি বলেন, ইজতেমায় আসা বিদেশি নাগরিকদের সুবিধার্থে ইমিগ্রেশন বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।

ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য কন্ট্রোল রুম অথবা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করার জন্য অনুরোধ জানান আইজিপি।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তাবলিগের উভয় পক্ষের মুরব্বিদের সাথে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভা করেছেন। তাঁদের সাথে আমরাও সভা করেছি। উভয় পক্ষই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ইজতেমা পালন করবেন বলে আমাদের কথা দিয়েছেন।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, পুলিশিং একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই প্রতিনিয়ত কাজ করতে হয়। প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান দিয়ে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।

তাবলিগের মুরব্বিদের সঙ্গে কথা বলছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।

স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ এবং তাবলিগের মুরব্বিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ‘নিরাপত্তা পরিকল্পনা’ পুস্তকের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

উল্লেখ্য, দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩-১৫ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ২০-২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।