ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারে, সেটাই লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তিনি। খবর ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইনের।

এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বারবার জীবননাশের হুমকির পরও দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার সামনে একটি প্রত্যয় ছিল, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতেই হবে। এখানে ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমার চাওয়া, সারা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে চলে। পঁচাত্তরের পর বৈরী পরিবেশে দেশে ফিরেছি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর প্রত্যয়ে। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।

নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের পরে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন হয়ে গেছে উল্লেখ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই একটা ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এখন বাংলাদেশকে অনেকে সমীহ করে। দাতারা আগের মতো আর শর্তের পর শর্ত দেয় না।

সরকারপ্রধান বলেন, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একমাত্র ব্যতিক্রম, যেখান থেকে মিত্রশক্তি তাদের সৈন্য ফিরিয়ে নিয়েছিল। এটা সম্ভব হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো স্বাধীনচেতা নেতৃত্বের জন্য।

২১ আগস্টসহ বিভিন্ন হামলায় জীবনহানির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আর কোনো প্রাণহানি হোক, তা আমি চাই না।

এ সময় আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরে শেখ হাসিনা জানান, বঙ্গবন্ধুর করে যাওয়া প্রতিরক্ষা নীতির ওপর ভিত্তি করেই তাঁর সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে। সশস্ত্র বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন বিশ্বে মানবিক সেনাবাহিনী হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।