মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিমানবন্দরে চলাচলকারী যাত্রীদের উন্নত ও আধুনিক যাত্রী সুবিধা দেওয়াই সরকারের মূল লক্ষ্য। শুধু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরই নয়, দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে রানওয়ের শক্তি ও দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি, আধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে।
‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং’ উপলক্ষে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব বিমানবন্দরে উন্নত প্রযুক্তির নিরাপত্তাসংক্রান্ত যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। ফলে বিমানবন্দরে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা আগের চেয়ে বহুলাংশে বেড়েছে। পাশাপাশি সমগ্র দেশের আকাশসীমার ওপর সক্রিয় নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা, বিমান পরিচালনায় অধিকতর সুরক্ষিত ও নিরাপদ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্টেট-অব-দ্য-আর্ট-টেকনোলজি সংযোজনের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং হতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি এই টার্মিনাল নির্মাণকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাঁদের অবদান ও অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য অভিবাদন জানাই। তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের এ মাহেন্দ্রক্ষণে দেশবাসীকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাপান সরকারের জাইকা থেকে ঋণ সহায়তায় ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার জায়গার ওপর নির্মিত নতুন টার্মিনাল ভবনটি অত্যাধুনিক। বিশ্বের উন্নত যেকোনো বিমানবন্দরের মতো সৌন্দর্যমণ্ডিত এবং যাত্রীসেবার জন্য সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সংস্থান রয়েছে এতে। এখানে রয়েছে বহুতলবিশিষ্ট কার পার্কিং ব্যবস্থা, স্বয়ংক্রিয় আমদানি ও রপ্তানি কার্গো ভিলেজ, বিমানের পার্কিং এপ্রোন ও প্যারালাল টেক্সিওয়ের সঙ্গে সংযোগকারী হাইস্পিড টেক্সিওয়ে, গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম, বোর্ডিং ব্রিজ, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রসহ নতুন ইউটিলিটি কমপ্লেক্স, ফায়ার ফাইটিং স্টেশন, এয়ারসাইড ও টাউন সাইডে সারফেস রোড নেটওয়ার্ক, মেট্রোরেল স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ সাধনের জন্য টানেলসহ আনুষঙ্গিক অত্যাধুনিক অবকাঠামো ও স্থাপনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ৮০ লাখ। তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে প্রতিবছর নতুন করে যাত্রী সেবার আওতায় আসবে আরও ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী, অর্থাৎ সর্বমোট ২ কোটি যাত্রী। ফলে আন্তর্জাতিক রুটের সংখ্যা বাড়বে এবং নতুন নতুন গন্তব্য বাংলাদেশের আকাশপথের সঙ্গে যুক্ত হবে। এতে করে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।