জয়পুরহাট পুলিশ লাইনসের পুনাক রোজ গার্ডেনে ফুটেছে লাল গোলাপ। ছবি: পুলিশ নিউজ

লাল-হলুদ আর বেগুনি রঙের গোলাপ। দেখে প্রাণ জুড়িয়ে আসে। কেউ সেলফি তুলছেন, আবার কেউ সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরায় ধারণ করে রাখছেন। এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ লাইনসের প্রধান ফটক-সংলগ্ন পুনাক রোজ গার্ডেনে। দৃষ্টিনন্দন, মনোমুগ্ধকর এই বাগান হয়ে উঠেছে ব্যস্ততম পুলিশ সদস্যদের বিনোদনকেন্দ্র। ডিউটি শেষে পুলিশ সদস্যগণ পরিবার নিয়ে একটু বিনোদনের জন্য ভিড় জমান পুনাক রোজ গার্ডেনে। পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরাও আসেন এখানে। পুলিশ লাইনসের মহিলা ব্যারাকের বিপরীত পাশে ৩৩ শতাংশ জমিতে নির্মিত এই বাগানে প্রায় ৫ হাজার গোলাপের চারা রয়েছে। আছে ৭-৮ প্রজাতির গোলাপ। এ ছাড়া গাঁদা ফুল, ডালিয়া ফুলও রয়েছে এই রোজ গার্ডেনে। জয়পুরহাট পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সহযোগিতায় এই বাগান গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।

দর্শনার্থীরা জানান, খুব সুন্দর একটি জায়গা হয়েছে। ফুল তো সবাই ভালোবাসে। সারা দিন কর্মব্যস্ততার ফাঁকে এখানে এলে মনটা প্রফুল্ল হয়। সন্তানদের নিয়ে এখানে আসা হয়। বাচ্চার খেলাধুলা করে। সব মিলিয়ে চমৎকার সময় কাটে।

বাগান পরিচর্যার কাজ করছেন একজন মালি। ছবি: পুলিশ নিউজ

এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘ডিউটি শেষ করে যখন পুনাক রোজ গার্ডেনে আসি, তখন খুব ভালো লাগে। আমাদের কর্মস্পৃহা বাড়ে।’

জয়পুরহাটের বানিয়াপাড়া এলাকা থেকে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই শুনছি এখানে একটি গোলাপের বাগান আছে। দেখে খুবই মুগ্ধ হলাম।’

জয়পুরহাট পুলিশ লাইনসের আরআই খলিলুর রহমান বলেন, ‘দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আমাদের এই ফুলবাগানে আসে। পুলিশ সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এখানে আসে। ফুলবাগান দেখে তাঁদের মন ফ্রেশ হয়ে যায়।’

জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশের কোনো কর্মঘণ্টা নেই, ২৪ ঘণ্টাই ডিউটি করতে হয়। যখন সময় পাই, পরিবার নিয়ে পুনাক রোজ গার্ডেনে আসি। আমরা বিনোদিত হই, এ জন্য পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাই।’

গাঁদা ফুল ও ডালিয়া ফুলও রয়েছে এই রোজ গার্ডেনে। ছবি: পুলিশ নিউজ

জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, ‘পুলিশ লাইনসের প্রবেশপথের ৩৩ শতাংশ পরিত্যক্ত জায়গাটিকে নান্দনিক জায়গায় রূপান্তর করার উদ্যোগ নিই। পুনাক জয়পুরহাটের সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার গোলাপের চারা রয়েছে। এ ছাড়া ৭-৮ রকমের গোলাপ রয়েছে। এটি জয়পুরহাটের একটি নান্দনিক জায়গায় পরিণত হয়েছে। দর্শনার্থীরাও নির্মল বিনোদনের জন্য এখানে আসেন। এমন নির্মল বিনোদনের মাধ্যমে সমাজ থেকে অপরাধ দূর করা সম্ভব।’