লালপুর থানা-পুলিশের হেপাজতে গ্রেপ্তার আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

নাটোরের লালপুরে স্বাস্থ্যকর্মী মাহমুদা শারমিন বিথী (৩২) নিহতের ঘটনায় মো. জাহিদ হাসান সাদ্দাম (২৯) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে লালপুর থানা-পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়াইগ্রামের আহমেদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাদ্দাম বড়াইগ্রাম উপজেলার কামারদহ গ্রামের বাসিন্দা ও নিহতের প্রেমিক।

এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লালপুর উপজেলার লালপুর-বনপাড়া সড়কের তোফাকাটা (মধুবাড়ি) এলাকার একটি আমবাগান থেকে স্বাস্থ্যকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিথী গোপালপুর পৌর এলাকার স্থানীয় মুক্তার জেনারেল হাসপাতালে চাকরি করতেন। তিনি উপজেলার এবি ইউনিয়নের বরমহাটি গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে।

নিহত হওয়ার ঘটনা অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাটোর জেলার পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলামের (পিপিএম) সার্বিক দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (বড়াইগ্রাম সার্কেল) নেতৃত্বে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জসহ অন্য অফিসার-ফোর্স ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেন এবং লাশ পাওয়ার মাত্র ১০ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আহমেদপুর থেকে হত্যায় জড়িত মূল অভিযুক্ত জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, বিথী বৃহস্পতিবার রাত ৮টার মধ্যে বাড়িতে ফেরেননি। এ ঘটনায় তার বাবা আমজাদ হোসেন তাকে খুঁজতে বের হন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে কোথায় না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি। পরদিন শুক্রবার সকালে লালপুরের গোপালপুর পৌরসভার তোফাকাটা মোড়সংলগ্ন রাস্তার পাশে আমবাগান থেকে বিথীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ পরে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। স্বাস্থ্যকর্মী নিহতের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাদ্দামকে বড়াইগ্রামের আহমেদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় বিথীর বাবা আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে লালপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সাদ্দাম। গ্রেপ্তার সাদ্দামকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বিথী। কিন্তু সাদ্দাম বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসামি ভুক্তভোগীকে কৌশলে ডেকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।