বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণ অস্বাস্থ্যকর মাত্রায় বেড়েছে। আর এই দূষণের মাত্রা বিচারে তালিকার পঞ্চম স্থানে ঢাকা। বিশ্বের সাত হাজারের বেশি শহরের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। খবর আজকের পত্রিকার।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুটি সংস্থা হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার রিপোর্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার প্রতি ঘনমিটারে বাতাসে বার্ষিক গড় সূক্ষ্ম বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম আর নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের (এনও২) উপস্থিতি ২৩ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম।

নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের মতো বায়ুদূষণ প্রধানত যানবাহন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং গৃহস্থালির রান্নায় প্রায়শই পোড়ানো জ্বালানি থেকে সৃষ্টি হয়। যেহেতু শহরে অসংখ্য যানবাহন চলে এবং ব্যস্ত সড়কের কাছাকাছি অনেকে বসবাস করে থাকেন, তাই তাঁরা গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের তুলনায় অধিক হারে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের দূষণের শিকার হন। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বায়ুমান নির্দেশিকা অনুসারে, প্রতি ঘনমিটারে বার্ষিক পিএম ২.৫ উপস্থিতি ৫ মাইক্রোগ্রাম আর নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি ১০ মাইক্রোগ্রাম সহনীয় মাত্রা।

বিশ্বের সাত হাজারের বেশি শহরের বায়ুদূষণ এবং স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব বিশ্লেষণ করে নতুন এই প্রতিবেদন করা হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের বায়ুমানের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন।

সংস্থা দুটি বলেছে, বিশ্বে শীর্ষ দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। শহরটিতে বায়ুকণা পিএম ২.৫-এর গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ১১০ মাইক্রোগ্রাম। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দেশটির আরেক শহর কলকাতা, এই শহরের বায়ুকণা পিএম ২.৫-এর গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৮৪ মাইক্রোগ্রাম। এ ছাড়া তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা নাইজেরিয়ার কানো শহরের ক্ষেত্রে ৮৩.৬ মাইক্রোগ্রাম। চতুর্থ স্থানে থাকা পেরুর রাজধানী লিমার ৭৩.২ এবং বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পিএম ২.৫-এর গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৭১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম।