রাজবারবাগ পুলিশ লাইনসে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২২’ উপলক্ষে এপিবিএন সদস্যরা কুচকাওয়াজ পরিবেশন করেন। ছবি: পুলিশ নিউজ

বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত দল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ দমন ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এপিবিএন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক পাচার, অপহরণ, হত্যা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মতো অপরাধ দমনে নেতৃত্ব দিচ্ছে পুলিশের এই বিশেষ ইউনিট।

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নতুন এপিবিএন ইউনিট স্থাপন এবং ভাসানচরে নতুন থানা স্থাপন সম্ভব হয়েছে। এতে রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি কক্সবাজার অঞ্চলের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে ৯ ব্যাটালিয়নের একটি রিজার্ভ বাহিনী গঠন করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নাম দেওয়া হয়। এই ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করেন অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার একজন পুলিশ সদস্য। বর্তমানে মোট ১১টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের। নদীপথ বা দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলসহ সব জায়গাতেই পুলিশের এই বিশেষায়িত দলটি কাজ করছে। ২০১০ সালের জুন থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্ব নেয় এপিবিএন। এরপর থেকে সেখানকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং যাত্রী হয়রানি রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখছে এপিবিএন। ২০১১ সালে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন প্রথম নারী ইউনিট চালু করে। এ ছাড়া ১ জুলাই ২০১৬ সালে গুলশানে জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশের শহর এলাকায় কমান্ডো ইউনিট গঠন করার জন্য সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা গার্ড সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেন ইউনিটটির কর্মকর্তারা।