পুলিশি হেফাজতে আসামি মো. হাছান। ছবি: পুলিশ নিউজ

বলাৎকারের মামলায় ১০ বছর সাজা হয়েছিল মো. হাছানের (৪৮)। দুই বছর জেলহাজতে কাটিয়ে জামিনে মুক্ত হন তিনি। কিন্তু জামিনে মুক্ত হয়ে করেছেন আরও বড় অপরাধ। এবার কিশোরী শ্যালিকাকে (১৪) ধর্ষণের পর হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন লাশ। মামলা দায়েরের দীর্ঘ ৮ মাস পর সেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানা এলাকা থেকে ভুক্তভোগী কিশোরীর চাচাতো বোনের স্বামী মো. হাছানকে (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে আসামি মো. হাছান (৪৮) কিশোরগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রফিকুল বারীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভুক্তভোগী কিশোরীকে মেলায় নেওয়ার কথা বলে গত ১৭ মার্চ রাতে বাড়ি থেকে নিয়ে যান চাচাতো বোনের স্বামী মো. হাছান। পথিমধ্যে একটি কলাবাগানে নিয়ে ভুক্তভোগীর হাত বেঁধে ধর্ষণ করেন আসামি হাছান। এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরেন আসামি। এর ২০ মিনিট পর অপ্রাকৃতিক উপায়ে আবারও ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরেন আসামি। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী অচেতন হয়ে পড়েন। মৃত ভেবে ভুক্তভোগীকে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেন হাছান।

পরদিন ১৮ মার্চ ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুলিয়ারচর থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের হয়। গত ২৯ জুন ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায়, ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তবে কোনোভাবেই মামলার রহস্য উন্মোচিত হচ্ছিল না। এরপর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে ১ নভেম্বর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। তদন্তের একপর্যায়ে এই কাণ্ডে হাছানের সংশ্লিষ্টতা পান তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সাখরুল হক খান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আসামি মো. হাছানকে গ্রেপ্তার করা হয়।