প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স।

ইতালির রোমের একটি ক্যাফেতে এক বন্দুকধারীর হামলায় ইতালির নতুন প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির বান্ধবীসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চারজন। রোমের ফিদেনে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি কমিটির বৈঠক চলার সময় বন্দুকধারী এ হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সবাইকে মেরে ফেলব’ বলে গুলি চালাতে শুরু করে বন্দুকধারী।

রোমের মেয়র রবার্তো গুয়ালতিয়েরি এ হামলার ঘটনাকে ‘সহিংসতার ভয়াবহ একটি পর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন।

এ ঘটনায় ৫৭ বছর বয়সী এক সন্দেহভাজনকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের কয়েকজনের সঙ্গে তার বিরোধ থাকার কথা জানা গেছে।

ইতালির সংবাদপত্র লা রিপাবলিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট লুসিয়ানা সিয়োরবা ঘটনার সময় ক্যাফেতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বন্দুকধারী রোববার ক্যাফেতে ঢুকে ‘আমি সবাইকে মেরে ফেলব বলে’ চিৎকার করে। এরপর তার কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি চালাতে থাকে। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে। পরে অন্য বাসিন্দারা তাকে ধরে ফেলেন। পুলিশ এসে তাকে আটক করে।

গুলিতে আহত ব্যক্তিদের দুজন নারী এবং দুজন পুরুষ। তাঁদের একজনের অবস্থা গুরুতর।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নিহত ব্যক্তিদের একজন তাঁর বান্ধবী। তাঁর নাম নিকোলেত্তা গোলিসানো। নিহত অপর দুই নারী হলেন এলিসাবেত্তা সিলেনজি এবং সাবিনা স্পেরান্দিও।

এক ফেসবুক পোস্টে জর্জিয়া মেলোনি তাঁর বান্ধবী নিকোলেত্তা গোলিসানোর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। মেলোনি আরও লিখেছেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে তাঁর ৫০তম জন্মদিনে কেনা লাল পোশাকে তাঁকে সুখী ও সুন্দর দেখাচ্ছিল। তাঁর সে সুন্দর ও সুখী রূপ আমার স্মৃতিতে সব সময় থেকে যাবে।’

মেলোনি আরও বলেন, একটি শুটিং রেঞ্জ থেকে ওই সন্দেহভাজন বন্দুকটি চুরি করেছে। ঘটনার পর শুটিং রেঞ্জটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।

কী উদ্দেশ্যে ওই সন্দেহভাজন গুলি চালিয়েছে, তা নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে এ হামলা রাজনৈতিক নয় বলে মনে করা হচ্ছে।

গত অক্টোবরে ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন জর্জিয়া মেলোনি। সূত্র: প্রথম আলো।