বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের উদ্যোগে ও ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের সার্বিক সহায়তায় বনশ্রী হেডকোয়ার্টার্স মাঠে রোববার অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ট্যুরিস্ট পুলিশ

বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের উদ্যোগে ও ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের সার্বিক সহায়তায় বনশ্রী হেডকোয়ার্টার্স মাঠে এক অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স মাঠে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডিআইজি মো. ইলিয়াছ শরীফ বিপিএম (বার), পিপিএম প্রধান অতিথি ছিলেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের নেতৃত্বে ও ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ১০ জন ফায়ার ফাইটার ও ৬০ জন ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য যেকোনো স্থানে গ্যাস সিলিন্ডারসহ যেকোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে বিচলিত না হয়ে কীভাবে আগুন নেভানো যায়, সে বিষয়ে প্রত্যক্ষভাবে অগ্নিনির্বাপণ মহড়াটি করেন।

অগ্নিনির্বাপণ মহড়া শেষে প্রধান অতিথি ডিআইজি বলেন, প্রতিবছর আমাদের এখানে একটা মহড়া হয়। সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস তারা যে কাজ করে, সেটাই এখানে (মহড়ায়) দেখি। এ মহড়াটা তাদের। মহড়ার পেছনে যে মহড়া আছে, সেটা তাদের তত্ত্বাবধানে হয়। তারা জানে আমাদের পরিকল্পনা। তিনি বলেন, বহুতল ভবনে আগুন লাগলে কী হবে, আমরা তো দেখছি না। সেটা ভয়াবহ হতে পারে। আমরা চর্চা রাখছি।

ট্যুরিস্ট পুলিশের মিডিয়া শাখার প্রধান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল হালিম বলেন, ‘আমরা সাধারণত ফায়ার সার্ভিস থেকে আশা করি, উদ্ধার তৎপরতা কীভাবে করা যায়। আমাদের হিডেন পিলার/হিডেন পাইপ দিয়ে আগুন নেভানো সম্ভব। ফায়ার সার্ভিসের কাজ হিডেন (দৃষ্টির আড়ালে থাকা) পিলার/হিডেন পাইপ ঠিক আছে কি না পরীক্ষা করা। আমাদের ভুলভ্রান্তি থাকলে দেখিয়ে দেওয়া এবং গাইড করা। যাতে আমরাও প্রস্তুত থাকি ফায়ার ফাইটিং করার জন্য।

অনুষ্ঠানে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপারসহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন। খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার মো. হাসান আলীর নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের একটি চৌকস দল অগ্নিনির্বাপণের বিভিন্ন কলাকৌশল প্রদর্শন করেন। প্রধান অতিথিসহ সকল অফিসার ও ফোর্স অগ্নিনির্বাপণ মহড়া প্রত্যক্ষ করেন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা ফায়ার এস্টিংগুইশারসহ অগ্নিনির্বাপণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ব্যবহার সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন।