পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে শুভ বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে শুভ বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এই নির্দেশ দেন।

র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বিপিএম (বার), পিপিএম, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপারগণ ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।

সভায় অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান বিপিএম (বার), স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), এটিইউর অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), পিবিআইয়ের অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

তিনি চার্চে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপনের জন্য খ্রিস্টধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে আপনারা তাঁকে ধরে ফেলবেন। আর ধরতে না পারলে চিনে রাখবেন, পুলিশ তাঁদের আটক করবে। তিনি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানান।

আইজিপি থার্টিফার্স্ট ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

পুলিশপ্রধান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সুযোগ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে সাইবার মনিটরিং এবং প্যাট্রলিং বৃদ্ধি ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

তিনি কক্সবাজারসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেন।

সভায় থার্টিফার্স্ট নাইট এবং খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে পটকা, আতশবাজি, ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের মতো এবারও বড়দিন আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে।