গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সদস্যরা। ছবি: সমকাল

বরগুনার পাথরঘাটায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। খবর সমকালের।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন—বাঁশখালীর বড়ঘোনা গ্রামের মো. কাইছার ওরফে কালু (২৫), একই এলাকার মো. জাহিদ (২৫), মো. সেলিম (৪০) ও তার ছেলে মো. ইকবাল হোসেন (১৫)।

যা ঘটেছিল

র‌্যাব জানায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি ট্রলার মাছ ধরতে বরগুনা থেকে বঙ্গোপসাগরে যায়। ট্রলারটিতে ১৮ জন জেলে ছিলেন। রাতে তাঁরা ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতরা অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করলে নয়জন জেলে প্রাণ বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দেন। তাদের মধ্যে চারজন উদ্ধার হলেও হাসপাতালে ভর্তির পর তাদের একজন মারা যান। অন্য পাঁচ জেলের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার বলেন, গ্রেপ্তার কালুর কাছে বরগুনার বোট থেকে ডাকাতি করা একটি মোবাইলফোন পাওয়া যায়। যেটি আব্দুল করিম নামে এক জেলের। কালু ও জাহিদ ওইদিন রাতে সরাসরি ডাকাতিতে অংশ নেন। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জেলেদের কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, সেলিম ডাকাতিতে ব্যবহৃত বোটের মালিক। তার ছেলে মো. ইকবাল ডাকাতির সময় বোটে ছিলেন। ডাকাতদের অস্ত্র ও বোট পাহারার দায়িত্ব ছিল তার। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সমুদ্রে যান তারা। কক্সবাজার-কুতুবদিয়া চ্যানেলে একটি ডাকাতি করে। পরে বরগুনা-পটুয়াখালি চ্যানেলের দিকে যায়। সেখানেও একটি বোটে ডাকাতি করে বলে স্বীকার করেন।