বগুড়ায় গাবতলী থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার জেএমবি সদস্য। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

বগুড়ায় গাবতলী মডেল থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমপি) সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। গাবতলী থানা এলাকা থেকে ১১ জানুয়ারি (বুধবার) ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. ওয়ালি উল্লাহ ওরফে অলি (৪৭)।

বগুড়া পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) বগুড়া জেলা পুলিশ জানতে পারে যে জেএমবির কয়েকজন সদস্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বগুড়ার গাবতলী মডেল থানা এলাকায় একত্র হয়ে উত্তরবঙ্গে তাদের বর্তমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং বাংলাদেশেকে অস্থিতিশীল, অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্দেশ্যে নির্জন কোনো স্থানে গোপন বৈঠক করবে।

এই তথ্যের ভিত্তিতে গাবতলী মডেল থানা-পুলিশের একটি দল ১০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাবতলী মডেল থানার বড়গোলাবাড়ী বাজারসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গোলাবাড়ী বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডে ১১ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গাবতলী সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত চকসদু গ্রামে একটি নবনির্মিত ভবনে কয়েকজন জেএমবি সদস্য বৈঠক করতে সমবেত হয়েছে বলে জানা যায়। এ তথ্যের ভিত্তিতে ভোর পৌনে ৬টার দিকে ওই জায়গায় পুলিশ উপস্থিত হলে কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় মো. ওয়ালি উল্লাহকে ধরে ফেলে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি জানান, ঘটনাস্থল থেকে মো. আহসান হাবিব ওরফে জামাত আলীসহ (৪৩) অজ্ঞাতনাম ৬-৭ জন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ওয়ালি উল্লাহ স্বীকার করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে সন্ত্রাসবিরোধী মামলা হওয়ার পর দীর্ঘদিন পলাতক থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুরাতন জেএমবির সদস্যদের সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাবতলী থানার মহিষাবান ইউনিয়নের মড়িয়া গ্রামে গোলাবাড়ী মাছ বাজার এলাকায় আসামির ভাড়া বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ২৩টি জিহাদি বই জব্দ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গাবতলী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।