বগুড়ায় বন্য পাখিসহ গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি। ছবি: বগুড়া জেলা পুলিশ

বগুড়ায় চার প্রজাতির ৩১৪টি বন্য পাখি উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ল অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁকে সাজার আদেশ দেন।

উদ্ধার করা পাখিগুলোকে অবমুক্ত করা হয়েছে।

উদ্ধার করা বন্য পাখি। ছবি: বগুড়া জেলা পুলিশ

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর (বিপিএম সেবা) সার্বিক দিকনির্দেশনায় সহকারী পুলিশ সুপার (আদমদিঘী সার্কেল) মো. নাজরান রউফের তত্ত্বাবধানে ডিবি, বগুড়ার ইনচার্জ মো. সাইহান ওলিউল্লাহর নেতৃত্বে ডিবির একটি দল সোমবার রাত নয়টার দিকে দুপচাঁচিয়া থানাধীন গুনাহার ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার প্রজাতির ৩১৪টি বন্য পাখিসহ মো. আতোয়ার আলী সাকিদার নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

আতোয়ার আলী সাকিদার (৫২) ওই গ্রামের মৃত ওছিমুদ্দীন সাকিদারের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদে আতোয়ার আলী সাকিদার জানান, তিনি নয়-দশ বছর ধরে অবৈধভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী আটক করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চড়া দামে বিক্রি করে আসছিলেন।

উদ্ধার করা বন্য পাখি। ছবি: বগুড়া জেলা পুলিশ

তাঁর কাছ থেকে বন্য পাখি ফুলমাথা টিয়া (ব্লোসম হেডেড প্যারাকিট) ১৪০টি এবং লালমাথা টিয়া (পাম হেডেড প্যারাকিট) ৪০টি, তিলা মুনিয়া পাখি ৫০টি এবং ৮৪টি দেশি চাদিঠোঁট মুনিয়া উদ্ধার করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানাধীন ধুকপুকুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এসব পাখি তিনি সংগ্রহ করেন এবং বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজের বাড়িতে রাখেন। তিনি আরও জানান, এই মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ভারত থেকে খাদ্য আহরণের জন্য বাংলাদেশে এলে তিনি প্রতিবছরই প্রচুর হিরামন টিয়া, মুনিয়া পাখিসহ অন্যান্য পাখি বিভিন্ন কৌশলে ধরে নিয়ে এসে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করেন।

বন্য পাখি কেনাবেচা ও সংরক্ষণ বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। অনেকেই শখ করে বন্য পাখি পোষার জন্য বাসায় রাখেন। এতে অনেক সময় পাখিগুলো পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে মারা যায়। এসব পাখি যেন বিলুপ্ত না হয়, সেই লক্ষ্যে জেলা পুলিশ বগুড়ার এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

৩১৪টি বন্য পাখিসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করে জেলা পুলিশ। ছবি: বগুড়া জেলা পুলিশ