পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার তিন ডাকাত। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

বগুড়ায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এক অভিযানে সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বার্মিজ চাকু, ধারালো বটি, হেক্সাব্লেড ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ একটি সিএনজি জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার ওই তিনজন হলেন- বগুড়া সদরের শুকারপুর পূর্বপাড়ার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম, শাজাহানপুরের চকদুলাহার গ্রামের ইসমাইলের ছেলে মোজ্জাফর হোসেন মোজাহার ওরফে বিপুল এবং গাইবান্ধার পলাশবাড়ির দুর্গাপুরের মৃত হাফিজার মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া। এর মধ্যে খোকন মিয়া বর্তমানে বগুড়া সদরের পালশা নামাপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন ও মোজ্জাফর হোসেন সদরের হরিগাড়ী ইসলামপুরের ভাড়াটিয়া।

মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার।

তিনি জানান, ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার আব্দুল মালেক তার চাচাতো ভাই রাকিবুল হাসান আকিল ও আরেক ছোট ভাই মনিরকে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে কদমতলা এলাকায় দেখেন রাস্তার ওপর গাছের গুঁড়ি। সেখানে থামতেই দুষ্কৃতিকারীরা এসে তাদের এলোপাথারিভাবে মারধর শুরু করেন। এরপর ভুক্তভোগীদের কাছে থাকা নগদ এক লাখ দুই হাজার টাকা এবং প্রায় ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের তিনটি স্মার্ট ফোন কেড়ে নেন। এই ঘটনার পর ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আব্দুল মালেক ধুনট থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।

মামলার পরপরই আসামিদের ধরতে জেলা পুলিশের চৌকস টিম অভিযানে নামে। সোমবার সকাল থেকে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে সোমবার ১০ টার দিকে আসামি খোকনকে সদরের চকসূত্রাপুর থেকে, সোয়া ১১ টার দিকে হরিগাড়ী ইসলামপুর থেকে বিপুলকে এবং সিএনজি ড্রাইভার নজরুলকে মাটিডালি থেকে বিকাল ৫ টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে ধারালো বটি, বার্মিজ চাকু, দড়ি, হেক্সোব্লেড ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে ৩ জনই ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে পথরোধ করে ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণ করে বেড়াতেন তারা।

গ্রেপ্তার ওই তিনজনকে ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য উল্লেখ করে স্নিগ্ধ আখতার বলেন, খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় খোকনের নামে বগুড়া ও গাইবান্ধার বিভিন্ন থানায় চুরি ও ডাকাতিসহ ৮ টি মামলা রয়েছে। বিপুলের নামে চুরি, ডাকাতি ও হত্যাসহ ৮ টি এবং নজরুলের বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি মামলা। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।