পুলিশের হেফাজতে হত্যা মামলার গ্রেপ্তার চার আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা ইউনুস আলী হত্যা মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, ৮ অক্টোবর সকাল ৮টার সময় নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের কবিরপুর চরের জনৈক ফকির মিয়ার আবাদি জমির পাশে ঝোপের মধ্যে লাশ পড়ে আছে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছায় এবং লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। বিকেল ৪টার দিকে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে লাশের পরিচয় শনাক্ত করে নিহতের পরিবারকে জানানো হলে তাঁরা ফরিদপুর এসে লাশ শনাক্ত করেন এবং ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাস্থলে পাওয়া ১টি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর ১৭ অক্টোবর বেলা ২টায় পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানা এলাকা থেকে ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে এ দুই আসামির তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুজন আসামিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৮), আব্দুর রহমান (২৬), মো. আবুল কালাম (৩০) ও মো. জিয়া (২৩)।

গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইউনুস ও আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময় ফরিদপুর এসে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ৭ অক্টোবর আসামি জাহাঙ্গীর ফরিদপুরের নতুন বাসস্ট্যান্ডের পাশে চায়ের দোকানে ইউনুসকে টাকা গুনতে দেখে তাঁর লোভ হলে বিষয়টি তিনি তাঁর পাশে থাকা আব্দুর রহমানকে জানান। তাঁরা দুজন পরামর্শ করে আবুল কালাম ও মো. জিয়াকে জানান। বেলা দেড়টায় তাঁরা সবাই ফরিদপুরে একত্র হয়। তখন তাঁরা ৪ জন মিলে ইউনুসকে হত্যা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক ইউনুসের কাছে আসামি কালাম জমির মালিক সাজেন এবং বাকিরা কিষান সাজেন। তাঁরা ইউনুসকেও কিষান হিসেবে তাঁদের সাথে কাজ করার কথা বলেন। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। তাঁরা সেখানে তাঁকে হত্যা করেন এবং তাঁর ব্যাগ থেকে ১৮ হাজার টাকা এবং ১টি মোবাইল ফোন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তাঁরা ওই রাতে চরে আত্মগোপনে থাকেন এবং পরের দিন সকালে ফরিদপুর এসে মীর আবাসিক হোটেলে ওঠেন এবং প্রত্যেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা করে ভাগ করে নেন। ইউনুসের বাটন মোবাইলটি কালাম নেন। এরপর যে যার মতো করে ফরিদপুর ত্যাগ করে নিজ নিজ এলাকায় চলে যান।

গ্রেপ্তার আসামিদেরকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।