মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রতি মাসে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজ২৪ডটকমের।

১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় মাননীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ১ কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ২ কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৭ ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। মজুত রয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ ডোজ। টিকা সংগ্রহ এবং বিনা মূল্যে প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি মাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিনোফার্ম থেকে পাওয়ার শিডিউল অনুযায়ী অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে দুই কোটি হিসেবে ডিসেম্বরের মধ্যে ছয় কোটি টিকা পাওয়া যাবে।

জাতীয় পার্টির মাননীয় সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নদীভাঙনের স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। বন্যা থেকে রক্ষা, নদীভাঙন নিয়ন্ত্রণ, নদীশাসন, নাব্যতা রক্ষাসহ সামগ্রিক নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এতে সারা দেশকে সাতটি নদী বেসিনে বিভক্ত করে সমীক্ষা সম্পাদন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কর্ণফুলী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর বেসিনভিত্তিক সমীক্ষা শেষ হয়েছে। পানিপ্রবাহের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নদীগুলোকে স্থিতিশীল রাখা ও যথাযথ পলি ব্যবস্থাপনা কৌশল অনুসরণ করে কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে দেশের বন্যা ঝুঁকি হ্রাস ও নদীভাঙনকবলিত এলাকার ভাঙন রোধ করে টেকসই উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত অর্জন সম্ভব হবে।