কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানা-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে ময়মনসিংহ থেকে আটক বাবুল শীল। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আত্মগোপন করেছিলেন বাবুল শীল। এরপর তাঁর স্ত্রী তিনজনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছিলেন। তবে কুড়িগ্রাম পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে এই চক্রান্তের কথা। পরে ময়মনসিংহ থেকে বাবুল শীলকে আটক করা হয়।

কুড়িগ্রাম পুলিশ জানায়, গত ১৭ নভেম্বর ফুলবাড়ী থানায় বাবুল শীলকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তাঁর স্ত্রী। ওই নারী দাবি করেন, বাবুলকে ডিবি পরিচয়ে অপহরণ করা হয়েছে এবং তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। বাবুলের তিন বন্ধু এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

পরে বাবুলের স্ত্রী পুলিশ কেন আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না, বাবুলকে উদ্ধারে অগ্রগতি নেই বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করতে শুরু করেন। এই অবস্থায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানা-পুলিশ বাবুলের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর শুরু করে। পরে ৯ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে নওগাঁ, বগুড়া ও ময়মনসিংহ জেলায় শুরু হয় সাঁড়াশি অভিযান। অভিযানের দুদিনের মাথায় ১১ জানুয়ারি (বুধবার) ময়মনসিংহের বকুলতলার একটি মেস থেকে বাবুল শীলকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

পরে আদালতে স্বেচ্ছায় বাবুল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, তিনি প্রায় দুই মাস কুড়িগ্রাম, সান্তাহার, নওগাঁ, বগুড়া ও ময়মনসিংহে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে তিন থেকে পাঁচ দিন করে অবস্থান করেন। এই সময়ে তাঁর স্ত্রী প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তিনজনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে বাবুল আত্মগোপনে থাকতে যে আত্মীয়স্বজন সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের নামও বলেছেন।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন বলেন, পুলিশের প্রচেষ্টায় বাবুলের অপহরণ নাটক ব্যর্থ হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় অপরাধ দমনে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। আমরা সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।