প্রতারণার শিকার আবুল হোসেনের হাতে উদ্ধার করা এক লাখ টাকা তুলে দিচ্ছেন জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। ছবি: সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ

নিজের পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন আবুল হোসেন। নিজের বাড়ি বন্ধক রেখে তিন লাখ ৬০ হাজার টাকাও দেন। পরে বুঝতে পারেন প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন তিনি। নিরুপায় হয়ে তিনি ঘটনাটি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানান।

আবুল হোসেন সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ছোট কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর ছেলে মিন্টু শেখকে বিদেশ পাঠানোর প্রলোভন দেখায় স্থানীয় এক প্রতারক। প্রতারকের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে পরিবারটি। বসতঘর হারিয়ে তিনি বসবাস শুরু করেন গোয়াল ঘরে। পরিবার নিয়ে অত্যন্ত অমানবেতর পরিস্থিতিতে পড়ে যান আবুল হোসেন। এলাকার অনেককে বলেও কোনো ফল পাননি আবুল হোসেন।

এদিকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশ। তদন্তে ঘটনার সত্যতাও মিলে যায়। অবশেষে প্রতারকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক লাখ টাকা। বাকি টাকাও উদ্ধার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রোববার বিকেলে উদ্ধার হওয়া এক লাখ টাকা অসহায় আবুলের হাতে তুলে দিয়েছেন এসপি।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান জানান, ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় মানুষটির কাছ থেকে তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারক দেলোয়ার হোসেন। তদন্তকালে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এ ছাড়া আবুল হোসেন বাড়ি বন্ধক রেখে তাকে টাকা দেন। বসতঘর হারিয়ে তিনি বসবাস শুরু করেন গোয়াল ঘরে। এরপর প্রতারক দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।