পেশায় একজন রিকশাচালক হলেও আড়ালে একজন বড় প্রতারক। এমনই এক প্রতারককে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে ওয়ারী ট্রাফিক জোনের পুলিশ সদস্যরা।

গ্রেপ্তার দুজনের নাম-মো. মিরাজ (চালক) ও মো.রুমন। খবর ডিএমপি নিউজের।

আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পোস্তগোলা করিমউল্লাবাগ থেকে আনুমানিক এক লক্ষ টাকার মালামাল কিনে রিকশাযোগে জুরাইন হয়ে বংশালের রথখোলা যাচ্ছিলেন মো. জাহেদ। কিছুদূর যাওয়ার পর চালক জাহেদকে রিকশা মেরামত করতে হবে বলে নামতে বলেন। রিকশা থেকে নামার পর রিকশাচালকের একজন সহযোগী জাহেদের সাথে কথা বলতে শুরু করেন। কথা বলতে বলতে জাহেদ যখন আনমনা হয়ে পড়েন এই ফাঁকে রিকশাচালক ও তার অপর এক সহযোগীসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে যান।

রিকশাটি যখন জুরাইন রেল ক্রসিং এলাকায় পৌঁছায়, তখন ওয়ারী ট্রাফিক জোনের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা মাল বোঝাইকৃত রিকশাটি থামায়। পুলিশ দেখেই রিকশার পেছনে থাকা সহযোগী পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশের সন্দেহ হলে চালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। ১০/১৫ মিনিট পর মালামালের প্রকৃত মালিক সেখানে উপস্থিত হন। তিনি পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা করেন এবং নিজের মালামালগুলো শনাক্ত করেন। পুলিশের তৎপরতার কারণে তার মালামাল ফিরে পাওয়ায় তিনি পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তারা এমনিভাবে রিকশায় করে মালামাল বহনের নামে মানুষের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করতেন বলে জানান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্যামপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।