হাওরাঞ্চলে অকালবন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বোরোচাষিদের আউশ মৌসুমে প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার চাষিদের জন্য এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের প্রণোদনা আছে। ওখানে আমন ওইভাবে হয় না, একটাই ফসল। আমরা ইতোমধ্যে কর্মসূটি নিয়েছি আউশে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য। ক্ষয়ক্ষতি মেটানোর জন্য অবশ্যই চাষিদের পাশে সরকার থাকবে। হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট এলাকায় যাতে আউশের উৎপাদন বাড়ানো যায়, সে জন্য প্রণোদনা দেওয়া হবে।

দেশের খাদ্যশস্যের একটি বড় জোগান আসে হাওর থেকে। বিশাল হাওর বিস্তৃত সাত জেলা নিয়ে। এ জমির পুরোটাই এক ফসলি। হাওরের বোরো ধান রক্ষায় রয়েছে ফসল রক্ষা বাঁধ। এ বাঁধ তলিয়ে গেলে দুর্দশার সীমা থাকে না।

সম্প্রতি ভারতের মেঘালয়ে বেশি বৃষ্টির কারণে সুনামগঞ্জসহ বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব এলাকায় কিছু ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় অনেক কৃষকের জীবন-জীবিকা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
২ এপ্রিল থেকে পাহাড়ি ঢলের কারণে সীমান্তে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকে। এই পানি প্রবাহিত হয় ভাটির হাওরের নদ-নদীতে। প্রবল পানির চাপে হাওরের নিচু জমিগুলো তলিয়ে যায় প্রথম ধাক্কাতেই। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ।
এরই মধ্যে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলের কয়েকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে ফসল রক্ষা বাঁধের আওতার বাইরে কিছু নিম্নাঞ্চলের ফসল তলিয়ে যাওয়ায় বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।
দেশে বোরো মৌসুমে হাওরাঞ্চলের উৎপাদনের তথ্য তুলে ধরে আব্দুর রাজ্জাক জানান, এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরোপরি নির্ধারণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে সেখান থেকে মোট ১২ লাখ টন ধান আসে। এই ধান বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ব্যাপার।’

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাইকৃষ্ণ হাজরা বৈঠকে ছিলেন।