পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের আধুনিকায়নের উদ্যোগে সভায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান (বিপিএম-বার, পিপিএম-বার) বাংলাদেশ পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের আধুনিকায়নে এক অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাঁর হাত ধরে ‘রক্তে মোরা বাঁধন গড়ি, রক্ত দেব জীবন ভরি’- এ স্লোগান সামনে রেখে ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়। খবর ডিএমপি নিউজের।

পুলিশ ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে রক্ত প্রদানকারী ডোনারদের কাছ থেকে সরাসরি রক্ত সংগ্রহ এবং তা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা ও মুমূর্ষু রোগীকে জরুরিভাবে রক্ত প্রদানসহ নানা মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পুলিশ ব্লাড ব্যাংকে সংগৃহীত রক্ত পুলিশ, জনগণনির্বিশেষে সবাইকে সরবরাহ করা হয়। কোভিড-১৯ মহামারির সময় ৫১০০ ব্যাগ প্লাজমা সরবরাহ করে করোনায় আক্রান্ত বহু মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাচাঁতে ভূমিকা রেখেছে পুলিশ ব্লাড ব্যাংক। বর্তমানে মহামারি রূপ ধারণ করা ডেঙ্গু আক্রান্ত প্রায় চার হাজারের অধিক মুমূর্ষু রোগীকে প্লাটিলেট সরবরাহ করেছে পুলিশ ব্লাড ব্যাংক।

সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ ব্লাড ব্যাংকের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি আবার পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের আধুনিকায়নে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় পুলিশ ব্লাড ব্যাংককে আরও আধুনিকায়ন করে সেবার মান বৃদ্ধির জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ ব্লাড ব্যাংককে নতুন জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা, নতুন অ্যাম্বুলেন্স সংযোজন, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আজীবন রক্তাদাতাদের তথ্য সংরক্ষণ ইত্যাদি। এ ছাড়া সভায় পুলিশ ব্লাড ব্যাংকে ২৪ ঘণ্টা সেবা দানের জন্য একজন ডাক্তার ও দুজন নার্স নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার (বিপিএম-বার), যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম (পিপিএম-বার), উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) তানভীর সালেহীন ইমন (পিপিএম), কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. মনোয়ার হাসনাত খান, পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের ইনচার্জ এসআই এ কে এম সিদ্দিকুল ইসলামসহ ব্লাড ব্যাংকের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।