সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ অবদান এবং সেবামূলক কাজের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পাচ্ছেন ৪০০ জন পুলিশ কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে পদক পাওয়া পুলিশ সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের কার্যক্রম অনুযায়ী পুলিশ সদস্যদের এ পদকের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অসমসাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’ পেয়েছেন ৩৫ জন, ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ পেয়েছেন ৬০ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ২১০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ প্রদান করা হচ্ছে।

এবার সর্বাধিকসংখ্যক পুলিশ সদস্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পাচ্ছেন।

জানা যায়, এই পদক কারা পাবেন, তা নির্ধারণ করতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে একটি কমিটি করা হয়। সেই কমিটি পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের বছরের সেরা কাজগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি তালিকা তৈরি করে। এরপর তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত করার পর পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনের কর্মসূচিতে প্যারেডে সালাম গ্রহণের পর নিজ হাতে কর্মকর্তাদের এই পদকে ভূষিত করেন।

পুলিশের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক’ (বিপিএম), এরপরই ‘প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক’ (পিপিএম)। এই দুই পদকে যাঁরা ভূষিত হন, তাঁরা এককালীন অর্থ ও প্রতি মাসে ভাতা পান এবং নামের শেষে এই পদক উপাধি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তা ছাড়া বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী অনেকে এ পদকে ভূষিত হন। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।