আর্মি এভিয়েশন স্কুলে হেলিকপ্টার চালনায় প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর এএসপি ফাতেমা তুজ জোহরাসহ চারজন পাইলট হিসেবে পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে যোগ দেবেন। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেছেন, এভিয়েশন উইং চালুর ফলে বাংলাদেশ পুলিশ ত্রিমাত্রিক ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে। বাংলাদেশ পুলিশের নবগঠিত এভিয়েশন উইং দুর্গম অঞ্চলে দ্রুত যোগাযোগ, গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা, তল্লাশি অভিযান এবং উদ্ধার কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের এভিয়েশন উইং চালুর অনুমতি দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের নবগঠিত এভিয়েশন উইংয়ের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্মি এভিয়েশন স্কুল বিশেষ ভূমিকা রাখছে‌। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে সেনাবাহিনীর সঙ্গে পেশাগত সুসম্পর্ক ও সহযোগিতা রয়েছে। আগামীতে এ ধরনের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বাড়বে এবং সুসংহত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আইজিপি আজ সোমবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের গ্রুপ কমান্ডার মেজর জেনারেল আই কে এম মোস্তাহসিনুল বাকী এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসপির নেতৃত্বে আর্মি এভিয়েশন স্কুলের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, দেশের যেকোনো প্রয়োজনে ও সংকটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার এক সুদীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে।

নিরাপত্তাকে অক্সিজেনের সঙ্গে তুলনা করে আইজিপি বলেন, অক্সিজেন ছাড়া যেমন কোনো মানুষ বাঁচতে পারে না, তেমনি নিরাপত্তা ছাড়া একটি সমাজ বা রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের ১৮ কোটি মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত রয়েছে। দেশের প্রয়োজনে, জনগণের প্রয়োজনে যখন যা করা দরকার, তা-ই করা হবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের গ্রুপ ক্যাপ্টেন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষণার্থীরা অত্যন্ত আগ্রহ ও আন্তরিকতা নিয়ে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন। তাঁরা যোগ্য পাইলট হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবেন বলে তিনি দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।

আর্মি এভিয়েশন স্কুলে হেলিকপ্টার চালনায় বর্তমানে বিভিন্ন বাহিনীর দশজন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছেন। তাঁদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশ পুলিশের। পুলিশের চারজন প্রশিক্ষণার্থীই ইতোমধ্যে একক উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তাঁরা পাইলট হিসেবে পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে যোগ দেবেন।

আইজিপি এবং সেনা ও পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে পাইলট হিসেবে যোগ দেওয়া চার এএসপি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিআইজি (লজিস্টিকস) মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী বক্তব্য দেন। প্রশিক্ষণের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন সহকারী পুলিশ সুপার ফাতেমা তুজ জোহরা।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিগণ এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ের জন্য রাশিয়া থেকে দুটি আধুনিক হেলিকপ্টার কেনার বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।