সিসিটিভি ক্যামেরা সম্পর্কে কথা বলছেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, বিপিএম, পিপিএম। ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সঙ্গে ভারতের প্রায় ৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। চুরি, ছিনতাই, হত্যা ছিল এখানকার নৈমিত্তিক ঘটনা। এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৪৩৮টি ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিডি) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। ইতিমধ্যে এর সুফল পেতে শুরু করেছেন পাঁচবিবি উপজেলার বাসিন্দারা। গত চার মাসে কমেছে অপরাধ। এই উদ্যোগ নেওয়ায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

পাঁচবিবি থানায় স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিং সেন্টার। ছবি: সংগৃহীত

পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এর ফলে শহরে অপরাধ অনেক কমেছে। এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

সম্প্রতি পাঁচবিবি থানা কনফারেন্স রুম ও সিসিটিভি মনিটরিং সেন্টার উদ্বোধন করেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন বিপিএম, পিপিএম। এ সময় তিনি বলেন, সিসিটিভি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি থাকবে। এই কমিটি পুরো বিষয়টি তদারক করবে।

পাঁচবিবি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৪৩৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাছুম আহমেদ ভূঞা জানান, ভারত সীমান্তবর্তী পাঁচবিবি উপজেলা ডাম্পিং জোন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখানে প্রায়ই হত্যার পর লাশ ফেলে রাখা হতো। পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হতো। সিসিটিভি স্থাপন করায় এসব অপরাধ অনেকাংশেই কমে গেছে।