রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্টাফ কোয়ার্টারে শিশুদের খেলার জায়গা ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কর্নার’ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জার উদ্যোগে রাজধানীর বুকে শিশুরা পেল খেলার জায়গা।

রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্টাফ কোয়ার্টারে জীশান মীর্জা ১৬ মার্চ (বুধবার) সকালে শিশুদের খেলার জায়গা ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কর্নার’ উদ্বোধন করেন। পুনাক সভানেত্রী শিশুদের সঙ্গে নিয়ে একটি কেক কাটেন। তিনি শিশুদেরকে কেক খাইয়ে দেন। বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান বিপিএম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

শিশুদের খেলার জায়গা ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কর্নার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কেক কাটেন পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুনাক সভানেত্রী বলেন, ‘গত বছর পুলিশ ভবনে এক শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তখন শিশুরা তাদের কোয়ার্টারে একটি খেলার জায়গা চেয়েছে। আমরা শিশুদের জন্য রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্টাফ কোয়ার্টারে একটি পরিত্যক্ত স্থানকে বঙ্গবন্ধু শিশু কর্নার হিসেবে শিশুদের খেলার উপযোগী করে তৈরি করতে পেরেছি।’

শিশুদের খেলার জায়গা ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কর্নার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

জীশান মীর্জা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর যদি জন্ম না হতো, তাহলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না, নিজেরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতাম না। আমরা পেতাম না বাংলা ভাষা, বাংলাদেশের মানচিত্র।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর মতোই শিশুদের ভালোবাসেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন, কীভাবে মানুষকে ভালোবাসতে হয়, দেশকে ভালোবাসতে হয়।’

এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পুনাক শিশু-কিশোরদের নিয়ে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়াম, রাজারবাগ, ঢাকায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুনাক নেতৃবৃন্দ এবং শিশু-কিশোরেরা ।

শিশুদের খেলার জায়গা ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কর্নার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুনাকের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

অনুষ্ঠানের শুরুতে পুনাকের খুদে শিক্ষার্থীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। পুনাকের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুনাক সভানেত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।