চট্টগ্রামের নদ-নদী রক্ষায় শিল্প কারখানাগুলোতে যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কর্ণফুলী নদী যেন কোনোভাবে দূষিত না হয়।

চট্টগ্রাম ওয়াসার অধীনে ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

রাঙ্গুনিয়ার পোমরা এলাকায় স্থাপিত এই প্রকল্পে কর্ণফুলী নদীর পানি পরিশোধন করে দিনে ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার সুপেয় পানি সরবরাহ করার সক্ষমতা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে নদীদূষণ ঠেকাতে কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জোর দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বিষয়ে নজর রাখতে হবে- কর্ণফুলী, হালদা, সাঙ্গু নদীগুলোর যেন দূষণ না হয়। কর্ণফুলীর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। এখন অনেক শিল্প কল-কারখানা হচ্ছে। প্রত্যেক শিল্প কারখানায় অবশ্যই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। কর্ণফুলী নদী যেন কোনোভাবে দূষিত না হয়, সে ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে। সাথে অন্য নদীগুলোরও সুরক্ষা দিতে হবে।’
পানির চাহিদা পূরণে বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের মানুষের পানির চাহিদা পূরণে আমরা প্রকল্প নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করেছি। শুধু চট্টগ্রামে নয়, ঢাকাতেও পরিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য প্রকল্প নিয়েছি। ড্রেনেজ ও স্যানিটেশন মাস্টারপ্ল্যান করেছি। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী চট্টগ্রামে পয়োনিষ্কাশনের প্রথম পর্যায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও পাঁচটি পয়োবর্জ্য শোধনাগার হবে।’

প্রাকৃতিক উৎস থেকে পানি সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।

ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‌’আমাদের দেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায়। তাই ভূগর্ভস্থ পানি যেন না কমে যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে মাননীয় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‌’চট্টগ্রামকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন; যা কখনো মানুষ চিন্তাও করেনি, তা ওনার কাছ থেকে এসেছে।’