ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে ডিসি গুলশানের সঙ্গে দেখা করতে আসে শিশু তুফান ও তার পরিবার। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রীর উদ্যোগে রাজধানীর কড়াইল বস্তির এক অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। ৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে পরিবারটি ডিসি মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)-এর সঙ্গে দেখা করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি এক নারীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টদাতাসহ অনেকেই ছবিটি দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন যে ওই নারী শিশুটির মা না-ও হতে পারেন। কেউ কেউ এ-ও বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে শিশুটিকে হয়তো ব্যবহার করা হচ্ছে।

পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জার নজরে আসে। তিনি তাৎক্ষণিক গুলশান বিভাগের ডিসি মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)-কে ওই পোস্টের বিষয়ে অবহিত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। এরপর ডিসি গুলশান বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) শিশুটিসহ ওই নারীকে খুঁজে বের করতে বলেন। পরে বনানী থানার ওসি কড়াইল বস্তি এলাকা থেকে ছোট্ট শিশুটিসহ তার পরিবারকে খুঁজে বের করেন। তিনি যাচাই করে জানতে পারেন, শিশুটি মো. আব্দুল জব্বার ও বানেছা বেগম দম্পতির সন্তান। তার ডাকনাম তুফান। আব্দুল জব্বার তিনটি বিয়ে করেছেন। তুফান তার তৃতীয় স্ত্রীর ঘরের সন্তান।

পুলিশ জানায়, ৭ ফেব্রুয়ারি বেলা তিনটায় গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে তুফান ও তার পরিবার ডিসি গুলশানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় তুফানের বাবা-মা জানান, করোনাকালে তাঁরা কাজ হারিয়েছেন। এতে সংসার খরচ জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। থেমে গেছে সন্তানদের লেখাপড়া।

পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা।

ডিসি গুলশান ওই দম্পতির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে আপাতত সন্তানদের লেখাপড়া ও আনুষঙ্গিক খরচ চালিয়ে নেওয়ারও আশ্বাস দেন। এ সময় গুলশান বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।