পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাগেরহাটের তৎপরতায় মাত্র ৯ ঘণ্টার মধ্যে একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত সরকার জানান, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে খুলনার রূপসা থানা এলাকা থেকে আসামি মো. আমানুল্লাহ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি খুলনার কয়রা থানা এলাকায়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানাধীন কাটাখালী-মোংলা সড়কের জয় জুট মিলের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগীর নাম হামিদা বেগম, বাড়ি খুলনার দাকোপ থানা এলাকায়। এ ঘটনায় ফকিরহাট থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বোন।

তিনি জানান, মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, স্বামীর মৃত্যুর পর মো. আমানুল্লাহ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন ভুক্তভোগী হামিদা। গত ৪ জানুয়ারি ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি হামিদা। পরে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় খুলনার রূপসা এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা হয় ভুক্তভোগীর ছবি, পাসপোর্ট ও মোবাইল ফোন।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এসআই সুব্রত সরকার জানান, বছর দুয়েক আগে হামিদার গ্রামে কাজ করতে যান আসামি আমানুল্লাহ। সেখানেই তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর কাবিন ছাড়া দুজন বিয়ে করেন। বিভিন্ন সময় আসামির ভাড়া বাড়িতে থেকেছেন হামিদা। তবে আরও কয়েকজনের সঙ্গে হামিদার শারীরিক সম্পর্ক ছিল। আমানুল্লাহ বেশ কয়েকবার বোঝানোর পরেও অবৈধ সম্পর্ক ছাড়তে পারেননি হামিদা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আমানুল্লাহ। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ৪ জানুয়ারি হামিদাকে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন আমানুল্লাহ। হামিদা সেখানে আসার পর দুজনের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হামিদার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আমানুল্লাহ।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করতে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।