পুলিশি হেফাজতে গ্রেপ্তার আসামি মো. গোলাম রাব্বী। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানা-পুলিশ চাঞ্চল্যকর একটি খুনের মামলার অজ্ঞাত আসামিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করেছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার পাকুন্দিয়ায় চরখামা এলাকায় নদীর ধারে মো. ইসমাইল (৪০) নামের এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়৷ হত্যাকারী ভিকটিমের গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ উপুড় করে ফেলে রেখে যায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে পাকুন্দিয়া থানা-পুলিশ৷

ভিকটিম ইসমাইল শিলপাটা ধার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন বলে জানা যায়৷

ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে কারও প্রতি কোনো সন্দেহ না থাকায় সেদিন সন্ধ্যায় থানায় এসে ভিকটিমের বড় বোন আসমা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলার এজাহার দায়ের করেন৷

জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের নির্দেশনা ও তদারকিতে পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সারোয়ার জাহান মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করেন৷ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলা করার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং হত্যার সাথে জড়িত মো. গোলাম রাব্বীকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়৷

১৭ ফেব্রুয়ারি আসামি মো. গোলাম রাব্বী আদালতে ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ৷

জবানবন্দি থেকে জানা গেছে, অবৈধ সম্পর্ক ও আর্থিক লেনদেনসহ নানাবিধ কারণে ভিকটিমের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হয়েছিল রাব্বীর। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ধার সন্ধ্যার পর ভিকটিম কুড়িখাই মেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তাকে রাব্বী কৌশলে নদীর ধারে নির্জন জায়গায় নিয়ে যান ৷ রাত ৯টার পর গিয়ার নামক পানীয়র সাথে গোপনে ৪ পিস ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর ভিকটিমের ঘুম চলে আসলে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে ভিকটিমকে হত্যা করেন ৷

ঘটনাস্থল থেকে ঘুমের ট্যাবলেটের খালি পাতা, গিয়ার পানীয়র খালি বোতল ও অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে৷