পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে বিক্ষোভ। দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে পিটিআই-সমর্থকদের। অনেক এলাকায় তা রূপ নিয়েছে সহিংসতায়। সংঘর্ষে প্রাণ গেছে ৮ জনের। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছে কয়েক শ মানুষ। আটকের সংখ্যা কয়েক হাজার।

এদিকে ইমরানের গ্রেপ্তার ইস্যুতে সহিংসতার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পিটিআই। খবর ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইনের।

ইমরান খানের পর পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ ভোরে তাঁকে ইসলামাবাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার রাতে লাহোরে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। বাড়ির সামনে পার্ক করে রাখা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।

বিক্ষোভ দমাতে ইসলামাবাদসহ কয়েকটি প্রদেশে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। গিলগিত-বালতিস্তানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ অভিযোগ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

পিটিআই কর্মী-সমর্থক ছাড়াও দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে আইনি পদক্ষেপ। এরই মধ্যে দাঙ্গা ও বিশৃঙ্খলা উসকে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। হত্যা, লুটপাট ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৭টি মামলা করেছে পুলিশ।

ইমরান খানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। চলমান পরিস্থিতিতে পিটিআই নেতাদের সঙ্গে আলভি যোগাযোগ বজায় রেখেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম।

বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এর আগে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার ইমরানকে ৮ দিনের রিমান্ডে নেয় জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনএবি। এদিকে কারাগারে তাঁর ওপর হত্যাচেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পিটিআই প্রধান ইমরান খান।

এদিকে চলমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে পাকিস্তানের সব দলকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও সহিংসতার কারণে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।