স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালির আয়োজন করেছে।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে ২৫ জুন (শনিবার) বিকেল ৫টায় আনন্দ র্যালিটি জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে চৌমুহনা পয়েন্ট দিয়ে কুসুমবাগ এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
মৌলভীবাজার পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের মোটরকেড ও সুসজ্জিত ব্যান্ড দলের বাদ্যের তালে বর্ণাঢ্য এই আনন্দ র্যালিতে জেলা পুলিশ, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক নেতা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।
আনন্দ র্যালিটি মৌলভীবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করার সময় রাস্তার দুধারের সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও উৎসবের আমেজ লক্ষ করা যায়। কুসুমবাগ পয়েন্টে আনন্দ র্যালির সমাপনী অনুষ্ঠানের অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজমল হোসেন, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কামাল হোসেন।
র্যালি আয়োজন নিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা এক ঐতিহাসিক গৌরবোজ্জ্বল স্বপ্ন জয়ের সাক্ষী হলাম। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে পরিচিত নাম। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে পুরো জাতির মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আজকের এই আনন্দ র্যালির মাধ্যমে আমরা মৌলভীবাজার জেলা পুলিশও সেই আনন্দের অংশীদার হয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়ন বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে বহুগুণ।
পরে সবার উপস্থিতিতে বেলুন উড়িয়ে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফাইন্যান্স) হাসান মোহাম্মদ নাসের রিকাবদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুদর্শন কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) এ বি এম মুজাহিদুল ইসলাম পিপিএম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইও-১ আব্দুল হাই চৌধুরী, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিনুল হক ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলররা।
