উদ্ধার হওয়া সাত ছাত্র। ছবি: পুলিশ নিউজ

তারা সাতজন দশম শ্রেণির ছাত্র। নীলফামারীর সৈয়দপুর সদর থেকে ট্রেনে করে রাজশাহী এসেছিলেন বেড়াতে। রাজশাহী এসে একটি ট্রলারে করে পদ্মা নদীর খানকার চরে ঘুরতে গিয়েছিল। ট্রলারটি তাদের চরে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।

কথা ছিল ঘোরাঘুরি শেষে ট্রলারচালককে ফোন করলে তাদের নিয়ে যাবে। কয়েক ঘণ্টা চরে ঘোরাঘুরি করে ট্রলারচালককে ফোন করলে নানা অজুহাতে তিনি আর আসেননি। ইতোমধ্যে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। চরে একজন কৃষক থেকে জানতে পারেন, ট্রলারচালকের উদ্দেশ্য যদি খারাপ হয়, তবে রাতে তাদেরকে নিতে আসবেন এবং তাদের জিনিসপত্রসহ টাকাপয়সা সব লুট করে নিতে পারেন।

এমন অবস্থায় ভীতসন্ত্রস্ত নিরুপায় হয়ে নয়ন নামে এক ছাত্র শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল করে তাঁদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল সজীব রাজশাহী মতিহার থানায় এবং রাজশাহী নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষে ঘটনাটি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। পরবর্তী সময়ে ৯৯৯ ডেসপাচার এসআই আনিসুর রহমান কলার ও উদ্ধার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।

খবর পেয়ে রাজশাহী রিজিওন নৌ পুলিশের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থল খানকার চরে গিয়ে আটকে পড়া সাত ছাত্রকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়।

নৌ পুলিশ উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া এসআই শাহরিয়ার ৯৯৯কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।