হেলসিংকির সামরিক ঘাঁটিতে ফিনিশ সেনারা। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর জোট ন্যাটোয় যোগ দিতে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে ফিনল্যান্ড। ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার হুমকি উপেক্ষা করেই ফিনল্যান্ড এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।

রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিনল্যান্ড এক সরকারি বিবৃতিতে জানিয়েছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকের সময় ১৫ মে দেশটির প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিসতো এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করার বিষয়ে একমত হয়েছে। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত এবার ফিনিশ পার্লামেন্টে যাবে। সেখান থেকে ভোটাভুটিতে এই প্রস্তাব পাস হলে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করবে।

তবে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশটির ন্যাটোতে যোগদান সহজ হবে না। পশ্চিমা এই সামরিক জোটের বর্তমান সদস্যসংখ্যা ৩০। ন্যাটোতে ফিনল্যান্ডের যোগ দিতে হলে প্রতিটি দেশের সমর্থন লাগবে। কোনো একটি ন্যাটোভুক্ত দেশ ফিনল্যান্ডের যোগদানের বিষয়ে ভেটো দিলেই যোগদান স্থগিত হয়ে যাবে। ন্যাটোভুক্ত দেশ তুরস্ক ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়টির বিরোধিতা করেছে। দেশটি এরই মধ্যে এ বিষয়ে ভেটোর ইঙ্গিত দিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ফিনল্যান্ড ও সুইডেন সম্পর্কে বলেছেন, দুই দেশই তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ও পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (ডিএইচকেপি/সি) নিরাপদ বাসস্থান। তুরস্ক এই দুই সংগঠনকেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।