নেপালে ভূমিধসে চাপাপড়া মরদেহ অনুসন্ধান করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: এএফপি

নেপালে গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে এবং ঘরবাড়ি চাপা পড়ে ২২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১০ জন। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে আছাম জেলায় আজ রোববার এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

কর্মকর্তারা বলেছেন, উদ্ধারকারীরা এখনো ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যেই মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। আহতদের দ্রুত কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস হিমালয় পাহাড়ের পার্বত্য অঞ্চলে একটি সাধারণ ঘটনা। বিশেষ করে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেপালে বর্ষার সময় থাকে।

নেপালের সরকারি তথ্যমতে, চলতি বছর আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে সারা দেশে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।

দেশটির কাইলালি শহরের একজন কর্মকর্তা যজ্ঞ রাজ যোশি বলেছেন, স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ ও সামরিক উদ্ধারকারীরা আছামে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান করছে। কৈলালির গেটা নদীতে ভেসে যাওয়া একটি লাশ উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্যার কারণে এখানকার প্রায় দেড় হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে সরকারি ভবনে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের ফুটেজে দেখা গেছে, উদ্ধারকারীরা তাদের হাত দিয়ে ঘাস পরিষ্কার করে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধান করছে।

এর আগে গত সপ্তাহে নেপালের দারচুলা জেলার বঙ্গবগাদ এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত দুজন নিহত ও ১১ জন নিখোঁজ হয়েছে। এ ছাড়া অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে লস্কু ও মহাকালী নদী প্লাবিত হয়েছে। বন্যার তোড়ে এই এলাকার অনেক বাড়িঘর ও দুটি সেতু ভেসে গেছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।