পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

নেত্রকোনা সদর থানা-পুলিশের তৎপরতায় মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে জোছনা বেগম (৭০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর নাতিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টাকা চুরির সময় দেখে ফেলায় জোছনাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে আসামিরা।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে নেত্রকোনা শহরের নিউটাউন বিলপাড় এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ভুক্তভোগীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী জোছনা বেগমের তিন ছেলে। তাঁদের একজন বগুড়ায়, আরেকজন থাকেন বরিশালে। বড় ছেলে মিল্টন মোল্লার সঙ্গে নেত্রকোনা শহরের নিউটাউন বিলপাড় এলাকার বাড়িতে থাকতেন জোছনা। দিন দশেক আগে একটি কাজে বরিশালে যান মিল্টন, অন্যদিকে বাবার বাড়িতে যান তাঁর স্ত্রী। এ সময় বাড়িতে একা ছিলেন জোছনা। সোমবার রাতে জোছনাকে একাধিকবার ফোন করেন তাঁর ছেলে মিল্টন। কিন্তু ফোন ধরছিলেন না তিনি। পরে ঘরের দরজা ভেঙে জোছনার লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জোছনার নাতিসহ তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার তিন কিশোরের একজন ভুক্তভোগী জোছনার বড় ছেলের সন্তান। সম্প্রতি জোছনার এক ছেলে গাড়ি বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা পান। ওই টাকা জোছনার কাছে ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে ওই টাকা চুরির পরিকল্পনা করে জোছনার নাতি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই বন্ধুকে নিয়ে বাড়িতে যায় সে। কিন্তু টাকা চুরির সময় দেখে ফেলেন জোছনা। এ কারণে ঘটনা ধামাচাপা দিতে জোছনাকে হত্যা করে আসামিরা।

পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনায় নেত্রকোনা সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।