বিএনপির কর্মীদের নৃশংস হামলায় দায়িত্বরত অবস্থায় নিহত কনস্টেবল মো. আমিরুল ইসলামের (৩৩) জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২৯ অক্টোবর) জোহরের নামাজের পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, মো. আমিরুল ইসলাম ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন-৩-এ কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী ও পাঁচ বছর বয়সী মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
জানাজায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম, অতিরিক্ত আইজিপিগণ, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মরহুমের সহকর্মী ও স্বজনরা অংশ নেন।
জানাজা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের নেতৃবৃন্দ মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এ ছাড়া একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল মরহুমকে ফিউনারেল গার্ড প্রদান করে।
মরহুমের মরদেহ পুলিশ এসকর্টসহ তাঁর গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার চরকাটারী গ্রামে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।
আইজিপির শোক
কনস্টেবল মো. আমিরুল ইসলামের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।
এক বাণীতে আইজিপি বলেন, মরহুম কনস্টেবল মো. আমিরুল ইসলাম একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক, পেশাদার, কর্তব্যনিষ্ঠ ও সাহসী পুলিশ সদস্য ছিলেন।
আইজিপি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।