গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি : যশোর ডিবি পুলিশ

নিখোঁজ হওয়ার ছয় দিন পর যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রাম থেকে ইসরাফিল হোসেন (৩৭) নামের এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) যশোর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
নিহত ইসরাফিল যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে। তিনি শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইয়াবা ও গাঁজা সেবনের জন্য ডেকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় ইসরাফিলকে। এরপর লাশ কবরস্থানে মাটি চাপা দিয়ে গুম করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন নুর আলম (৪২), মো. মোশারফ হোসেন (৪৫) ও মর্জিনা বেগম (৩২)। তাঁদের সবার বাড়ি জেলার শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, ২৭ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ইসরাফিল নিখোঁজ হন। পরে ২৯ আগস্ট তাঁর স্ত্রী রোজিনা বেগম সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পাঁচ দিন গত হলেও কোনো সন্ধান না পাওয়ায় পুলিশ সুপার নিখোঁজ জিডির তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখাকে নির্দেশ দেন।

যেভাবে আসামিরা গ্রেপ্তার
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) (ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশনায় একটি দল অনুসন্ধানে নামে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টায় কাশিয়াডাঙ্গায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে, মোড়লবাড়ি বড় কবরস্থানে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় ইসরাফিলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ-সংক্রান্তে নিহত ইসরাফিলের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

যে কারণে হত্যা
প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, পারিবারিক জায়গাজমি ও চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের, নিহত ইসরাফিলের সঙ্গে গ্রেপ্তার মর্জিনার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর পরকীয়া ও মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।