ইটনা থানা–পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

কিশোরগঞ্জের ইটনা থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ এক কিশোরের হাত-পা লাশ মিঠামইন থেকে উদ্ধার করেছে ইটনা থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

নিহত কিশোরের নাম ফায়েম মিয়া ওরফে বকুল (১৪)। সে ইটনা উপজেলার গজারিয়া কান্দা উত্তর হাঁটি জয়নাল আবেদীনের (৪৭) ছেলে। বকুল ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাত।

পুলিশ জানায়, ফায়েম মিয়া ২১ এপ্রিল বেলা ৩টার দিকে বড় ভাইয়ের মোটরসাইকেলে করে আমিরগঞ্জ বাজার থেকে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বের হয়। ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ছেলে বাড়ি না ফেরায় ইটনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জয়নাল আবেদীন। ২৪ এপ্রিল বেলা সোয়া ১১টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে মিঠামইন থানা-পুলিশ খবর পায়, থানার সিংগা গ্রামের ঝিনুক নদে একটি লাশ পাওয়া গেছে। এই খবরের ভিত্তিতে মিঠামইন থানা-পুলিশ হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে ইটনার থানা-পুলিশকে জানায়।

ইটনা থানা-পুলিশ এরপর অভিযান চালিয়ে মো. সাব্বির মিয়া (১৯) নামের সন্দেহভাজন এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, নিহত ফায়েমের সঙ্গে আসামি সাব্বির ও পলাতক আসামি তৌফিকুল ওরফে তুহুকুলসহ (২২) ২–৩ জনের বন্ধুত্ব ছিল। ২১ এপ্রিল বিকেলে ফায়েম, গ্রেপ্তারকৃত সাব্বির ও তৌফিকুল বেড়াতে বের হয়। বন্ধুদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে পরিকল্পিতভাবে ফায়েমকে হত্যা করে সাব্বির মোটরসাইকেলটি নিয়ে যান।